বেসরকারিভাবে হজ ব্যবস্থাপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। এ বছর বেসরকারি এজেন্সিগুলোর ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে মাথাপিছু সর্বনিম্ন খরচ হবে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। বৃহস্পতিবার (১২ই মে) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে হাব এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হজের এই প্যাকেজের বাইরে থাকবে কোরবানি। কোরবানির জন্য আলাদা করে ৮১০ রিয়াল সমপরিমাণ অর্থ দিতে হবে। এবার ২০২০ সালের তুলনায় ২০২২ সালে হজ প্যাকেজ খরচ বাড়ানো হয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো- বাড়ি ভাড়া ও বিমানের ভাড়া বৃদ্ধি হয়েছে। যারা যাবেন তাদেরকে আগামী ১৮ই মের মধ্যে এজেন্সির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়ে রশিদ নিতে হবে। হজ যাত্রীদের সবার ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাসপোর্টের মেয়াদ থাকতে হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।

হাব সভাপতি বলেন, প্রত্যেক এজেন্সি নিজ নিজ স্পেশাল প্যাকেজ করতে পারবেন। তবে কোনো প্যাকেজই হাব ঘোষিত সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্যের চেয়ে কম হবে না। প্যাকেজ ঘোষণার পর সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো ফি আরোপ করলে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং তা হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে।

এদিকে, আগামী ১০ই জুন হজের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে হাব।

সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা।